Thursday, February 19, 2015

চিরতার অনন্য গুণাগুণে হবে রোগমুক্তি

বাংলা নাম : চিরতা
ইংরেজি নাম : Clearing nut tree
বৈজ্ঞানিক নাম : Swertia chirata Hum
পরিবার :Gentianaceae
ইউনানী নাম : চিরায়তা
আয়ুর্বেদিক নাম : কিরাত তিক্তা
আরবি নাম : যারিরাহ
ব্যবহার্য অংশ : সমগ্র গাছ 



পরিচিতি

চিরতা ৪ থেকে ৫ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট বীরুৎ জাতীয় গাছ। গাছের কাণ্ড সরু, হলদে বাদামি রঙের এবং লোমহীন। গাছের নিচের পাতা উপবৃত্তাকার, বৃন্তহীন, ২ থেকে ৩ ইঞ্চি লম্বা ও সূক্ষ্ম শীর্ষ বিশিষ্ট। পুষ্পদণ্ড পাতায় ভর্তি এবং ফুল পীতবর্ণ বিশিষ্ট। ফল ডিম্বাকার ক্যাপসুল আকারের হয়ে থাকে। ফল পাকলে কালচে বর্ণ ধারণ করে এবং বীজ গোলাকার ও হলুদ বর্ণের হয়ে থাকে। চিরতা তিতা স্বাদযুক্ত।

এ গাছ হিমালয়ের উষ্ণমণ্ডলীর অঞ্চলে প্রাকৃতিকভাবে জন্মে। কাশ্মীর ও ভুটানের পাহাড়ি এলাকায় এটি প্রচুর পরিমাণে জন্মে। কার্বন সমৃদ্ধ বালুময় মাটিতে এটি ভালো হয়। তবে চিরতার বীজের অঙ্কুরোদগম হার খুব কম। সাধারণত আগস্ট-সেপ্টেম্বর ফুল ধরে। সমতল ভূমিতে চিরতা মোটেও জন্মায় না। বাংলাদেশে কৃত্রিমভাবে কোথাও কোথাও চিরতার চাষ হয়।

নানাবিধ রোগ প্রতিরোধে কার্যকর। এ পর্যন্ত ৪০ এর বেশি রাসায়নিক উপাদান চিরতা থেকে শনাক্ত করা হয়েছে। বৈজ্ঞানিক গবেষণার মাধ্যমে সব উপাদানের বেশির ভাগেরই জৈব রাসায়নিক কার্যকারিতার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

চিরতার প্রচলিত ব্যবহার

ইউনানী চিকিৎসা অনুযায়ী চিরতা হৃৎপিণ্ড ও যকৃতের সবলকারক, চোখের জ্যোতি বর্ধক ও জ্বর রোগে বিশেষ উপকারী।

ভারতীয় পশ্চিম প্রান্তের লোকেরা বলেন, হাঁপানিতে এর ব্যবহারে ভালো ফল পাওয়া যায়। ইউরোপ আমেরিকাতে এটি বলকারক ও শক্তিকারক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া ডায়রিয়াতে ব্যবহৃত হয়। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মোতাবেক চিরতা স্নিগ্ধকারক, হজমকারক, চূরোগনাশক ও লিভার রোগ উপশমকারী। চিরতার লোকায়তিক প্রয়োগ।

ইনফুয়েঞ্জায় : ৫ থেকে ১০ গ্রাম চিরতা ৪ কাপ পানিতে সিদ্ধ করে ২ কাপ থাকতে নামিয়ে ছেঁকে সকালের দিকে অর্ধেকটা এবং বিকালের দিকে অর্ধেকটা খেতে দিতে হবে।

শোথে : শোথে এমনকি এলার্জির কারণে শরীর চুলকে ফুলে উঠলে চিরতা তাতে কাজ করে। রাতে ৪-৫ গ্রাম চিরতা ২৫০ মিলি গরম পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরের দিক ওটাকে ছেঁকে ২-৩ বারে ওই পানিটা খেলে উপশম হবে।

রক্তপিত্তে :
এই সমস্যায় ৪ বা ৫ গ্রাম চিরতা দেড় বা দু’কাপ ঠাণ্ডা পানিতে ঘণ্টাখানিক ভিজিয়ে রেখে ৩-৪ বার খেতে হবে।
নবপ্রসূতার স্তন্য শোধনে : অনেক সময় দেখা যায়, নবপ্রসূতার শরীরে জ্বর জ্বর ভাব, জড়তা, এসিডিটি প্রভৃতি দেখা দেয়। এই মায়ের বুকের দুধ খেয়ে সন্তানের পেটফাঁপা, বমি, সাদা বা সবুজ ধরনের পায়খানা প্রভৃতি দেখা দেয়। এক্ষেত্রেও ৪ বা ৫ গ্রাম চিরতা ২ কাপ ঠাণ্ডা পানিতে ৩-৪ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে সেটা ছেঁকে খেলে মায়ের স্তন্য দোষের সংশোধন হবে।

গর্ভাবস্থায় বমিতে : গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে বমির উদ্রেক হয়। এ ক্ষেত্রে চিরতা চূর্ণ ১ গ্রাম করে চিনির পানি দিয়ে খেলে ওই বমি হওয়াটা বন্ধ হয়ে যায়।

প্রচণ্ড বমিতে : পিত্তজ্বরে বা ঘন ঘন বমি হচ্ছে যেটা তিতা ও কিছুটা জ্বর আছে এবং পেটে কিছুই থাকছে না সে ক্ষেত্রে ২ কাপ গরম পানিতে ৫ গ্রাম চিরতা একটু থেঁতো করে ভিজিয়ে রাখতে হবে। ২-৩ ঘণ্টা বাদে ওটা ছেঁকে অল্প করে খেতে হবে তাহলে এ সমস্যা দূর হবে।

প্রবল হাঁপানিতে : একজিমার সাথে যাদের হাঁপানি অথবা অর্শ্বে রক্ত পড়া বন্ধ হওয়ায় হাঁপানি প্রবলাকার ধারণ করেছে, এমনটি হলে আধা গ্রাম চিরতা চূর্ণ ৩ ঘণ্টা অন্তর ২-৩ বার মধুসহ চেটে খেতে হবে। ফলে হাঁপানির প্রকোপটা কমে যাবে।

ক্রিমির উপদ্রবে : পেটের ওপরের অংশে মোচড়া দিয়ে ব্যথা যা সাধারণত ২ থেকে ৮ বছরের বালক বালিকাদেরই বেশি হয়; এক্ষেত্রে ২৫০ থেকে ৫০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত চিরতা অল্প মধু অথবা একটু চিনি মিশিয়ে খেতে দিতে হবে। এর ফলে ক্রিমির উপদ্রবজনিত পেটে ব্যথা সেরে যাবে।

ডায়াবেটিসে : ডায়াবেটিস নানা ধরনের হতে পারে। তবে যে ধরনেরই হোক না কেন ৫০০ মিলিগ্রাম চিরতা চূর্ণ ও ২ গ্রাম ছোট গো চূর্ণ© (Tribulas terrestris) একসাথে মিশিয়ে সকালে ও বিকালে পানিসহ দু’বার খেতে হবে। তাহলে এই রোগ প্রশমিত হবে।

বাহ্য প্রয়োগ যে কোনো চুলকানিতে : ২০ গ্রাম চিরতাকে অল্প পানি দিয়ে ছেঁকে লোহার কড়াইতে সরষের তেল গরম করে তাতে ভাজতে হবে যেন পুড়ে না যায়। এরপর ওটাকে নামিয়ে ছেঁকে অল্প অল্প করে নিয়ে চুলকানিতে ঘষে লাগালে ২-৩ দিনের মধ্যে উপশম হবে।

পচা ঘায়ে : যেসব পচা ঘা সহজে সারছে না সেসব ঘায়ের ৰেত্রে ১০ গ্রাম চিরতা রাতে ১ কাপ বা গৱাস গরম পানিতে ভিজিয়ে পরের দিন সে ঘা ধুলে ২-৩ দিনে ভালো ফল পাওয়া যাবে।

চুল পড়াতে : হয়তো কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না চুল পড়ে যাচ্ছে সে ক্ষেত্রে ২-৩ গ্রাম চিরতা ১ কাপ গরম পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সেই পানিটা ছেঁকে মাথা ধুলে চুল ওঠা কমে যাবে। তবে ১ দিন পরপর ৩-৪ দিন ধুতে হবে। এছাড়াও ২৫ গ্রাম চিরতা ফুল ২০০ গ্রাম নারকেল তেলে ভেজে ওই তেল মাথায় ব্যবহারে খুসকিসহ মাথায় ফুসকুড়ি ওঠা বন্ধ হয়।
চিরতাতে বিদ্যমান রাসায়নিক উপাদানগুলো

চিরতাতে বিদ্যমান সবচেয়ে তিক্ত উপাদানটি হলো এ্যামারোজেন্টি নামে গ্লুকোসাইড। এছাড়াও অফেলিক এসিড, চিরাটিন নামের আরেকটি গ্লুকোসাইড উপাদান দুটিও তিতা স্বাদযুক্ত। এছাড়া চিরতাতে নানা প্রকার এ্যালকালয়েড ও ট্রাইতারপিনয়েড বিদ্যমান। বিভিন্ন জ্যান্থোনস, স্টেরল, লিগন্যান প্রভৃতিও চিরতায় বিদ্যমান গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

চিরতার কার্যকারিতা

বৈজ্ঞানিক গবেষণা দ্বারা স্বীকৃত যে জৈবিক কার্যকারিতায় চিরতা উপকারী ভূমিকা রাখে সেগুলো হলো-
ক্রিমিনাশকতায়, লেশম্যানিয়াসিস প্রতিরোধে, শোথ নিরাময়ে, প্রদাহনাশকতায়, ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে, জ্বর নিরাময়ে, যক্ষ্মা প্রতিরোধে, স্নায়ুর কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণে, কোমলতা আনায়নে, যকৃত প্রতিরক্ষায়, উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে, রেচনে, পেটের ব্যথায়, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে, টনিক হিসেবে, হৃৎকার্য নিয়ন্ত্রণে, রক্ত পরিষ্কারে, হাইপোগ্লাইসেমিক কার্যকারিতার জন্য চিরতার কার্যকর উপাদানটি হলো সোয়ের চিরিন। এসব ছাড়াও গ্রাম পজিটিভ এবং গ্রাম নেগেটিভ উভয় প্রকার ব্যাক্টেরিয়ার বিরুদ্ধে চিরতা জীবাণুনাশক কার্যকারিতা প্রদর্শন করে। হারবাল এন্টিসেপ্টিক ও এন্টিফাংগাল ওয়েন্টমেন্ট প্রস্তুতিতেও চিরতা ব্যবহৃত হয়। আধুনিককালে চিরতা গনোরিয়া, সিফিলিস, শ্বেত প্রদর, ডায়াবেটিস ও আলসারে বহুল ব্যবহৃত হচ্ছে।

চিরতা সম্পর্কিত মহানবীর উক্তি :
একদা রাসূলে পাক (সা.) এর মহিয়সী বিবিগণের মধ্যে কোনো এক জনের আঙুলে ফোঁড়া বের হয়। তাঁর বর্ণনা মতে, ‘রাসূলে পাক (সা.) আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার কাছে কি যারিরাহ (চিরতা) আছে? আমি বললাম জী, হ্যাঁ। রাসূলে পাক (সা.) এরশাদ করলেন, ‘ফোঁড়ার ওপর যারিরাহ লাগিয়ে দাও এবং এই দোয়া পাঠ কর।

চিরতা সম্পর্কিত নবীজীর উপরোক্ত মন্তব্য-এর গুরুত্ব ও তাৎপর্যকে আরও সমুন্নত করেছে। আর এর মধ্যে এই মূল্যবান ভেষজটিকে নিয়ে গবেষণার সূক্ষ্ম নির্দেশনাও নিহিত রয়েছে।



তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট থেকে নেয়া

Monday, February 9, 2015

অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলিতে যে সব কাজ পাওয়া যায়।

নতুন যারা ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করতে চায় তাদের অনেকে আমার কাছে জানতে চায় কি কি কাজ শিখা যায়, কোন কাজের চাহিদা বেশি, কোন কোন কাজ মার্কেটপ্লেসগুলিতে বেশি পাওয়া যায় ইত্যাদি। আমি তাদের কে বলব ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলিতে অনেক ধরনের কাজ রয়েছে। সময়ের পরিক্রমায় কিছু কাজের চাহিদা কমে যায় আবার কিছু কাজের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। তাই ফ্রিল্যান্সিংয়ে ক্যারিয়ার গড়তে হলে কাজের ধরন /গতি দেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কোন  কাজ টি শিখতে পারেন। এরপর আপনাকে সেই নির্দিষ্ট কাজটি ভালভাবে শিখতে হবে এবং সেটিকে ভিত্তি করেই ক্যারিয়ার গড়তে হবে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলিতে যে সব কাজ পাওয়া যায় নিচে কয়েকটি কাজ তুলে ধরলাম।

1. SEO

সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশন (SEO), যাকে সংক্ষিপ্ত ভাবে বলা হয় SEO।আমাদের দেশে SEO কাজ করে অনেকে প্রচুর টাকা আয় করছে । প্রতিদিন অসংখ্য এসইও’র কাজ ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলিতে জমা হচ্ছে। এসইও’র চাহিদা সবসময়ই থাকবে। কারণ যেকোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক চাইবে তার ওযেবসাইটকে প্রমোট করতে, যেন এটি সার্চ ইন্জিনে উপরের/ Google প্রথম পাতায় থাকে। আর সাইট কে Google প্রথম পাতায় আনতে হলে বা সাইট কে প্রমোট করতে হলে অবশ্যই সাইটের জন্য এসইও করাতে হবে। সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) কাজ দীঘ মেয়েদী তাই এই কাজ ধৈর্য সহকারে কাজ চালিয়ে যেতে হয়। তবে এ সেক্টরে সফলতা পাবার জন্য কাজের কোয়ালিটি অবশ্যই ভালো হতে হবে। যারা নতুন তাদের ক্ষেত্রে, একবার একটি কাজ পেয়ে গেলে এবং সেটি প্রফেশনাল লেভেল মেইনটেইন করে ভালভাবে করে দিতে পারলে পরবর্তীতে তার কাজ পেতে সমস্যা হয় না।
SEO 2

2. গ্রাফিক ডিজাইন

অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের একটি অন্যতম আরেক মাধ্যম হল গ্রাফিক ডিজাইন। গ্রাফিক ডিজাইন এমনি একটি ক্ষেত্র, যার চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে। একজন প্রফেশনাল ডিজাইনার মাসে হাজার ডলারেরও উপরে আয় করে পারেন। Odesk, Elance , Fiverr, Peopleperhou গ্রাফিক ডিজাইন প্রচুর কাজ পাওয়া যায় । যারা নতুন ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শিখতে চান তারা গ্রাফিক ডিজাইন এর কাজ শিখতে পারন। বাংলাদেশেও এর চাহিদা অনেক রয়েছে। তবে নারীদের জন্য এটি এক টি ভাল সেক্টর। আমার জানা মতে বাংলাদেশের অনেক নারী অনলাইনে গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ করে প্রচুর টাকা আয় করছেন। তবে এ কাজ ভালো করে শিখতে হবে।
graphics design

3. ইমেইল মার্কেটিং

অনেকেই আমার কাছে জানতে চাই ইমেইল মার্কেটিং করে মাসে কত টাকা আয় করা যাবে ! আপনি কত টাকা আয় করতে পারবেন তা আপনার উপর ডিপেন্ট করবে । তারপরও যদি বলতে হয় আপনি মাসে ০ থেকে ৩ লাখ বা তার চেয়েও বেশী ইনকাম করতে পারবেন। তবে আপনাকে হবে সেই রকম দক্ষ ও পরিশ্রমী । আপনি যদি সেই রকম ও পরিশ্রমী ও দক্ষ না হতে পারেন তাহলে ৩ লাখ তো দূরে থাক ৩ পয়সা ইনকাম করতে পারবেন কিনা সন্দেহ।
আপনি Odesk, Elance , Fiverr এ বিভিন্ন বিষয়ের এর উপর ইমেইল লিষ্ট তৈরী করে, ইমেইল টেমপ্লেট Designকরে, তা বিক্রি করে দিয়েও ইনকাম করতে পারেন। মার্কেটপ্লেস গুলিতে সবচেয়ে বেশী ইনকাম করতে পারবেন ইমেইল সেন্ডিং এর কাজ করে । Email Campaign সেটআপ, ইমেইল সেন্ড, লিস্ট ক্লিনিং, ইমেইল সার্ভার সেটআপ,ইত্যাদি কাজ করে আয় করতে পারেন ।
email marketing

4. Web Development & Design

বর্তমানে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের যতগুলি উপায় রয়েছে তার মধ্যে Web design & development নিঃসন্দেহে সেরা। বর্তমানে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং ডিজাইন উভয় সেক্টরেই প্রচুর পরিমাণ কাজ পাওয়া যায়। পৃথিবীতে ওয়েবসাইটের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে, আর সেই সাথে বেড়ে চলেছে ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট এর কাজের চাহিদা ও পরিমাণ । ওয়েব ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে সাইটের ধরণ অনুযায়ী কোডিং করতে হয়। যেমন ওয়েবসাইটের জন্য html, css ব্যবহার করা হয় । অপরদিকে ডায়নামিক ওয়েবসাইট তৈরীর জন্য PHP, ASP, Python, Ruby ইত্যাদি এবং সেই সাথে ডাটাবেজ হিসাবে My SQL, MS SQL, Oracle প্রভৃতি ব্যবহার করা হয়। এ সেক্টরে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার সুযোগ অনেক, তবে সবার আগে প্রয়োজন আপনার দক্ষতা বৃদ্ধি করা।
webdevelopment

।5. Word Press

বিশ্বে ওয়েবসাইট তৈরীর জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি CMS হচ্ছে ওয়ার্ডপ্রেস । বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলিতে ওয়ার্ডপ্রেস এর কাজের পরিমাণ লক্ষ্য করি তাহলে দেখতে পাবো প্রতিনিয়ত এ সেক্টরে কাজের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ওয়ার্ডপ্রেস এর কাজের পরিমাণ যেমন বেশি তেমনি এ কাজের পারিশ্রমিকও তুলনামুলক বেশি। ফ্রিল্যান্সিংয়ের যে কয়েকটি সেক্টরে কাজ করে তুলনামূলকভাবে দ্রুত নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা যায় মধ্যে এ সেক্টটি অন্যতম। এছাড়া এ সব সেক্টরে কাজ পেতেও অন্যান্য সেক্টরের তুলনায় কম প্রতিদ্বন্দিতার সম্মুক্ষীন হতে হয়। তবে অন্যান্য যে কোন কাজের ন্যায় এখানেও আপনাকে সফল হতে হলে ধৈর্যশীল হতে হবে এবং প্রফেশনাল মানের কাজ করতে হবে ।
wardpress

6. আ্যন্ড্রয়েড এপ্লিকেশনঃ-

ফ্রিল্যান্সিং জগতে অন্যতম সম্ভাবনাময় সেক্টর হল আ্যন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন। দিন দিন বেড়ে চলেছে আ্যন্ড্রয়েড এপ্লিকেশনের কাজের সংখ্যা। এটি নিশ্চিতভাবেই বলা যায় অদুর ভবিষ্যতে আ্যন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন ডেভেলপারদের চাহিদা হবে অনেক বেশি। কারণ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে মোবাইল ডিভাইস ও স্মার্টফোনের বাজার। তাই মোবাইল ডিভাইস বা স্মার্টফোনের এপ্লিকেশনের চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে দিন দিন। ফলে প্রতিনিয়ত ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটগুলোতে আ্যন্ড্রয়েড এপ্লিকেশনের কাজ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর কাজের চাহিদা কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশের অনেক আইটি প্রতিস্টান আ্যন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন কোর্স চালু করেছে । আপনারা চাইলে এই সব আইটি প্রতিস্টান থেকে ট্রেডিং নিয়ে আ্যন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন কাজ করতে পারেন।
android-application

7. Data entry

Data entry নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য হতে পারে উপযুক্ত কাজ। এ কাজগুলি করতে কম্পিউটার সর্ম্পকে মোটামুটি ধারণা থাকলেই চলে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলিতে বর্তমানে প্রচুর ডাটা এন্ট্রির কাজ পাওয়া যায়। আমাদের দেশে এমন অনেকেই রয়েছেন যারা ডাটা এন্ট্রির কাজ করে প্রচুর টাকা আয় করছে। তবে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলিতে ডাটা এন্ট্রির কাজের প্রতিদ্বন্দিতার একটু বেশি। তবে একটু ধৈর্য ধরলে কাজ পাওয়া যায়।
dataentry_pic
উপরে যে কোন একটি সেক্টরে ভালো করে কাজ শিখে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলিতে কাজ শুরু করতে পারেন। তবে এ সেক্টরে সফল হতে হলে আপনাকে ধৈর্যশীল এবং পরিশ্রমী হতে হবে। তাহলেই সফল্য পাবেন।
ফ্রিল্যান্সিংসম্পর্কিত অন্য আরো কিছু জানার থাকলে আমাকে ফেসবুক এ প্রশ্ন করতে পারেন।
https://www.facebook.com/sumanrana4021